কুষ্টিয়ায় গোয়েন্দা পুলিশ-চরমপন্থী বন্দুকযুদ্ধে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এমএল জনযুদ্ধের শীর্ষ ক্যাডার এনামুল হক (৩৫) নিহত হয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধার করেছে।ভেড়ামারা-মিরপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সিএ হালিম জানান, মিরপুরের হিদিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে একদল চরমপন্থী বড় ধরনের নাশকতা ঘটানোর লক্ষ্যে সশস্ত্র বৈঠক করছে- এমন খবর পেয়ে শনিবার রাত ২টার দিকে কুষ্টিয়া গোয়েন্দা ও মিরপুর থানা পুলিশের যৌথ টিম সেখানে অভিযানে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চরমপন্থীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালালে ১৫ মিনিট ধরে বন্দুকযুদ্ধের একপর্যায়ে গুলিবিদ্ধ হয় চরমপন্থী এনামূল। এ সময় অন্যরা পালিয়ে গেলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি কাটা রাইফেল, একটি এলজি, চারটি তাজা বোমা, দুই রাউন্ড রাইফেলের গুলি ও ছয় রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ উদ্ধার করে। গুলিবিদ্ধ এনামূলকে উদ্ধার করে পুলিশ মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কুষ্টিয়ায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে চরমপন্থী নিহত
মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শিকদার মশিউর রহমান জানান, নিহত এনামুল হক চরমপন্থী সংগঠন পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টি এম এল জনযুদ্ধের শীর্ষ ক্যাডার। সে মিরপুর উপজেলার মোছাইনগর গ্রামের মৃত রাফেজ মণ্ডলের ছেলে। তার বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর নওদা আজমপুরের ট্রিপল হত্যাকাণ্ডসহ চারটি খুন, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মিরপুর থানায় নয়টি মামলা রয়েছে।