মঙ্গলবার দুপুরে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় পড়া শুরুর আগে আদালতে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। পরে ১০ সাংবাদিককে অনুমতি দেয়া হয়।
গত ১৩ আগস্ট রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও রায় প্রস্তুত না হওয়ায় আদালত তারিখ পরিবর্তন করে ২২ আগস্ট দিন ধার্য করে। গত ২৬ জুলাই শুনানি শেষে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য ১৩ আগস্ট দিন ধার্য করে দিয়েছিল আদালত।
আপিলে আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও আহসান উল্লাহ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জাহিদ সরোয়ার কাজল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল বশির আহমেদ।
চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলায় গত ১৬ জানুয়ারি সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্তকৃত তিন কর্মকর্তাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় দেন। এ মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি ১৬৩ পাতার পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। ওই দিনই পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথি (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে পৌঁছে দেয় বিচারিক আদালত। প্রধান বিচারপতির নির্দেশে এ মামলার পেপারবুক প্রস্তুতে দ্রুত উদ্যোগ নেয়া হয়। সেই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ মে মামলার প্রায় ছয় হাজার পৃষ্ঠারপেপারবুক হাইকোর্টে এসেছে।
ঘটনার একদিন পর কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বাদী হয়ে নূর হোসেনসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেন। এছাড়া, আইনজীবী চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল আরেকটি মামলা করেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়, এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ থেকে কাউন্সিলর নজরুল ইসলামকে হত্যার এই পরিকল্পনা করেন আরেক কাউন্সিলর নূর হোসেন। আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে র্যাব সদস্যদের দিয়ে ওই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
আসামিদের মধ্যে র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ১৭ জন এবং নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তৎকালীন ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূর হোসেনের পাঁচ সহযোগীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। ঘটনার ১৭ মাস পর মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।