Wednesday, February 5, 2025
Google search engine
Homeরাজধানীপ্রার্থী হিসেবে পুতুলের প্রদত্ত তথ্যাদি যথাযথ ছিল না :ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক

প্রার্থী হিসেবে পুতুলের প্রদত্ত তথ্যাদি যথাযথ ছিল না :ডব্লিউএইচও’র আঞ্চলিক পরিচালক

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালকের পদ পাওয়ার ক্ষেত্রে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল প্রার্থী হিসেবে যেসব তথ্য উপস্থাপন করেছেন, তা যথাযথ ছিল না। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রমাণও পাওয়া গেছে। 

নানা আলোচনা ও সমালোচনার মুখে পুতুলের বিরুদ্ধে তদন্ত পরিচালনা করে প্রাথমিকভাবে এসব তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তথ্যানুসন্ধানকালে দুদক জানতে পারে, সায়মাকে পদায়নের জন্য রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এবং নিয়মবহির্ভুত কার্যকলাপের আশ্রয় নেওয়া হয়েছিল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, যুক্তিযুক্ত কারণ ছাড়াই সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সফরে সফরসঙ্গী করা হয়েছে। তার ক্ষেত্রে প্রার্থীর যোগ্যতা হিসেবে প্রদত্ত তথ্যাদিও যথাযথ ছিল না। সায়মা পাসপোর্টধারী কানাডার নাগরিক ছিলেন মর্মেও তথ্য পাওয়া গেছে।

সূত্র জানায়, ডব্লিউএইচও এর ৭৬তম সম্মেলন উপলক্ষে দিল্লিতে ৩০ অক্টোবর হতে ২ নভেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে শতাধিক কর্মকর্তা ও প্রতিনিধি দল উপস্থিত হয়। সায়মা ওয়াজেদ পুতুল নিজের পারিবারিক প্রভাব এবং তার নিকটাত্মীয়দের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিপুল অর্থ ক্ষতিসাধন করেছেন।

দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক প্রাপ্ত ভিন্ন একটি অভিযোগের উপর অনুসন্ধানকালে জানা যায়, সায়মা ওয়াজেদ দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে এবং তার পরিবারিক রাজনৈতিক প্রভাবের অপব্যবহারের মাধ্যমে বেআইনিভাবে ঢাকার ‘পূর্বাচল নতুন শহর আবাসিক প্রকল্প’-এর ডিপ্লোমেটিক জোনে ১০ (দশ) কাঠা প্লট করায়ত্ব করেন। সে কারণে তার ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক একটি দুর্নীতির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এছাড়াও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ‘সূচনা ফাউন্ডেশন’ নামীয় একটি প্রতিষ্ঠান খুলে বিভিন্ন সামাজিক ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান থেকে জোরপূর্বক উপঢৌকন আদায় ও অর্থ আত্মসাত করেছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতায় অটিস্টিক সেলকে ব্যবহার করে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল রাষ্ট্রের বিপুল অর্থ আত্মসাত করে নিজে লাভবান হয়েছেন।

তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ওপর অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে ফাউন্ডেশনের নামে প্রাপ্য অর্থ করমুক্ত করিয়ে নেন। যাতে সরকারের বিপুল অর্থের ক্ষতিসাধন হয়েছে। 

সার্বিকভাবে সব তথ্যাদি হাতে নিয়ে দুদক জানায়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিশ্বাসযোগ্য অভিযোগ রয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments