দার্জিলিং শিবম হলে তিন দিনব্যাপী কবিতা উৎসবের পর্দা নামল। ‘কবিতা হোক শান্তি ও সম্প্রীতির হাতিয়ার’ এই স্লোগান সামনে রেখে শেষ হলো কবিতা উৎসব। বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটানের ৫০ জন কবি অংশ নেন।
বাঙালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি কেন্দ্র এবং জাতীয় কবিতা পরিষদ কলকাতার উদ্যোগে উৎসবের আয়োজন হয়। প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি ও কথাসাহিত্যিক রহমান শেলী। অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন নেপালের বিখ্যাত কবি বিধান আচারি।
সভাপতিত্ব করেন ভারতের কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী। বিশেষ অতিথি ছিলেন- নেপালের কবি বিসমা উপরেতি, ভুটানের কবি ডক্টর ভগওয়াত ভানদরী, মায়া গাংগস। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ভারতের প্রখ্যাত কবি শাকিল আহমেদ, স্বাগত বক্তব্য রাখেন উৎসবের আয়োজক কবি লৎফুর চৌধুরী।
চার দেশের জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে উৎসব শুরু হয়। এরপর বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি- এই নাচ পরিবেশিত হয়। উচ্চাঙ্গ নৃত্য পরিবেশন করেন ভারতের নৃত্যশিল্পী ইন্দ্রানী সেন রায়গুপ্ত। রবীন্দ্রসঙ্গীত আকাশভরা সূর্যতারা পরিবেশন করেন কোয়েলী বসু।
অনুষ্ঠানে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয় কবি ও কথাসাহিত্যিক রহমান শেলীকে। রহমান শেলী এ সময়ে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ লেখকদের একজন। তিনি কবিতার পাশাপাশি গল্প, উপন্যাস, এবং তরুণ প্রজন্মকে সঠিক পথ নির্দেশনায় আত্ম-উন্নয়নমূলক একাধিক বই লিখেছেন। তার বহুল পঠিত বইয়ের মধ্যে অন্যতম ‘তোমার মাঝেই সম্ভাবনা’। বইটি বের হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কপি বিক্রি হয়েছে; যা এই সময়ে বিরল ঘটনাই বলা যায়। রহমান শেলীর প্রথম উপন্যাস ‘অবন্তির নীল শাড়ী’ও পাঠকদের কাছে বেশ সমাদৃত হয়েছিল। তার আরেক জনপ্রিয় উপন্যাস ‘মা’। এই উপন্যাসটিকে বাংলা ভাষার জনপ্রিয় এবং একই সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ উপন্যাসও বলা যায়। ‘মা’ উপন্যাসটি ইংরেজি এবং স্প্যানিশ ভাষাও প্রকাশিত হয়েছে। তার অন্যান্য জনপ্রিয় বইয়ের মধ্যে রয়েছে- ‘আমি এলিয়ন’, ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’, ‘ইচ্ছে ঘর’, ‘মেঘের আড়ালে কিছু প্রেম’, ‘ইজ্জতের রশি’ এবং ‘আয়েশি চোর’।
দার্জিলিংয়ের এবারের কবিতা উৎসবটি চার দেশের কবিদের উৎসবমুখর অংশগ্রহণে শেষ হয়। দার্জিলিংয়ে কবিতা উৎসব হিসেবে এটি বাইশতম।