Friday, December 5, 2025
Google search engine
Homeরাজধানীরামু সীমা মহাবিহারের আবাসিক প্রধানের সাথে আলোচনা শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়ালেন...

রামু সীমা মহাবিহারের আবাসিক প্রধানের সাথে আলোচনা শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা ছড়ালেন ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান

কক্সবাজার-০৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান রামু উপজেলার ঐতিহাসিক কেন্দ্রীয় সীমা বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি সীমা মহাবিহারের আবাসিক প্রধান ও কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও দীর্ঘ আলোচনা করেন। এই জনপদের জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধি ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সংঘটিত ন্যাক্কারজনক হামলা ও অগ্নিসংযোগ এবং পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর সাথে মতবিনিময় করেন।

সীমা মহাবিহারের আবাসিক প্রধান প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, আমরা শান্তি চাই, সম্প্রীতি চাই। বৌদ্ধ বা যে কোনো সংখ্যালঘু সম্প্রদায় কোনো বিশেষ গোষ্ঠীর সমর্থক-এই ধারণাও ভুল। আমরা রাজনৈতিক ব্যক্তি নই, কোনো এজেন্ডা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যেও কাজ করি না। আমাদের কাজ বুদ্ধের বাণী প্রচার করা এবং শান্তি ও মৈত্রীর পরিবেশ সৃষ্টি করা।

এই বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান বলেন, শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য সত্য প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন। আর সত্যের সাথে থাকার মানে হলো সাম্য ও ন্যায়বিচারের সমাজ প্রতিষ্ঠা করা।

তিনি বলেন, এই নিন্দনীয় কর্মকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার হওয়া উচিত। তবেই এটি ভবিষ্যতের জন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। কেবল তখনই কক্সবাজারবাসির দায় মোচন হবে।

ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামান বলেন, কক্সবাজার বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা। এই ঐতিহ্য অক্ষুন্ন রাখতে আমরা সবাই একত্রে কাজ করে যাবো।

এই সময় ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান কক্সবাজারের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা পুনর্ব্যক্ত করেন। প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু মনে করেন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের মানুষদের নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদ্জ্জুামানের চিন্তাধারা স্থানীয় জনগণের মধ্যে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে এবং ভবিষ্যতে সম্প্রীতির বন্ধন আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ওই সময় সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান এবং রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের আবাসিক প্রধান ও কক্সবাজার জেলা বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু ছাড়াও মাছরাঙা টেলিভিশনের কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধি সুনীল বড়ুয়া, মধুপুক সম্পাদক ও প্রকাশক আতিকুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলায় বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের বিহার গুলোতে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ঘটে। ফেসবুকে ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মগ্রন্থ পবিত্র কুরআন অবমাননার একটি ছবি ছড়ানোর গুজবের জেরে উত্তেজিত জনতা রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও ৩০টি বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ভাঙচুর চালায়। পরদিন উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় আরও সাতটি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি ঘরে একই ধরণের হামলা করা হয়।

ঘটনার পর রামু, উখিয়া ও টেকনাফে মোট ১৯টি মামলা দায়ের করা হয়। তবে সাক্ষীর অভাবে এবং তদন্তে দুর্বলতার কারণে ১২ বছর পরও বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। অনেক অভিযুক্ত জামিনে মুক্তি পেয়ে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, যা ভুক্তভোগী সম্প্রদায়ের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও হতাশা সৃষ্টি করেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments