Friday, December 5, 2025
Google search engine
Homeরাজধানীলাকসামে ব্যবসা-বানিজ্যে স্থবিরতা

লাকসামে ব্যবসা-বানিজ্যে স্থবিরতা

কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী বানিজ্যিক নগরী লাকসামসহ জেলা দক্ষিনাঞ্চলের হাটবাজার জুড়ে আজ নানাহ কারনে এলাকার গ্রামীন মুক্তবাজার অর্থনীতি যেন থমকে দাড়িয়েছে। প্রশাসনিক কোন কোন সেক্টরে ভ্রান্তনীতি ও স্থানীয় অপরাজনীতির বেড়াজালে জনজীবন নানাহ ঝুঁকিতে। এলাকার নিত্যদিন ছাড়াও সাপ্তাহিক হাটের দিনে লোকজনের সমাগম একদম নেই। বিগত কয়েক বছর যাবত মহামারী করোনা সংক্রমন ও নানাহ প্রতিকূলতার ফলে ব্যবসা বানিজ্য স্থবিরতায় সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীরা পড়েছেন আর্থিক সংকটে। বিশেষ করে ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন দীর্ঘ ছুটির পর হাট-বাজার গুলো তেমন একটা জমে উঠেনি। এছাড়া সম্প্রতি দেশ ব্যাপী মহামারী করোনার প্রাদূর্ভাব দেখা দিয়েছে। এতে সংকিত ব্যবসায়ী সমাজ। ইতিমধ্যে কুমিল্লায় ৪ জনের করোনা সনাক্ত নিয়ে এলাকার জনমনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।


স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি সূত্র জানায়, জেলার দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তর লাকসাম উপজেলায় স্থানীয় অপরাজনীতি আর ভীন দেশীয় নানাহ আগ্রাসনে এলাকার সাধারন ব্যবসায়ীদের উপর ভর করেছে বিরামহীন লোকসানের বোঝা। বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসনের চলছে সংস্কার, পৌরশহরকে আধুনিকায়নসহ নানাহ মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘ ১৫ বছর এলাকার নিঃস্তব্দ নির্ঘুম আহাজারী ও আর্তনাদের বোবা কান্নারত ব্যবসায়ীদের কল্যানে কতটুকু ভূমিকা রেখেছে তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ। এছাড়া বিভিন্ন সময় দারিদ্রের কঠিন আঘাত এ অঞ্চলের ব্যবসায়ীদের দমাতে না পারলেও মানসিক দিক থেকে দারিদ্রতার চেয়ে আরও কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হয়েছে দীর্ঘ ১৫ বছর তবে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি জানান দিচ্ছে ভিন্ন কথা। সকল শ্রেণির ব্যবসায়ীরা ঘুরে দাড়াতে মুক্তিযুদ্ধে চেতনা ঘিরে গণতন্ত্র, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও জাতীয়তাবাদ দর্শনকে অবমূল্যায়নে ওদের আজ চরম মূল্য দিতে হচ্ছে। এলাকার সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতির উন্নয়ণ ঘটলেও আগামী দিনে অপরাজনীতির শংকায় গ্রামীন অর্থনীতিতে গতি আসার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। এলাকার সামাজিক পরিবেশ অবক্ষয়ে ব্যবসা-বানিজ্য যেন পাঠার বলি। সামাজিক ভাবে মানুষের জীবন প্রনালী, ব্যবসা বান্ধব কর্মসূচী ও চাওয়া পাওয়ার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে গনতান্ত্রিক সমাজের অপরিহায্যতা স্থিতিশীল রাখার কোন বিকল্প নেই। আবার পর্দার অন্তরাল থেকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা কিংবা পেশী শক্তির ছাড়পত্র নিয়ে সাময়িক মৌলিক গনতন্ত্রের আওয়াজ তোলা যায়। কিন্তু সাধারন ব্যবসায়ীদের কল্যানে নির্ভেজাল গনতান্ত্রিক চর্চা সম্ভব নয়।


সূত্রটি আরও জানায়, জেলা দক্ষিনাঞ্চলে বিগত ১৫ বছর যাবত অর্থনৈতিক মহামারী করোনাা, বন্যা ও নোংরা রাজনীতির থাবা এবং বৈরী আবহাওয়া ও দূনীতি, লুটপাটসহ নানাহ প্রতিকূলতায় ব্যবসায়ীদের মাঝে নানাহ কৌতুহল জন্ম দিয়েছে এবং ৫ই আগষ্টের পর দেশ নতুন ভাবে এগিয়ে এলেও তারা ঘুরে দাঁড়াতে তাকিয়ে আছেন প্রকৃতি ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে। এলাকায় স্বল্প সংখ্যক উৎপাদিত পন্য নির্ভর এবং অতি মাত্রায় ভিনদেশীয় পণ্যের নির্ভরতায় ব্যবসা বানিজ্য আজ গতিহারা। দেশীয় ও ভিনদেশীয় পন্য বেচাকেনায় সাধারন ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখিন হচ্ছেন এবং চাহিদার বিপরীতে প্রায়ই ৭০ ভাগ পন্যই ভিনদেশী। ওইসব পন্য বানিজ্যে মূল্য পার্থক্য থাকলেও গুনগত মান ও ব্যবসা বানিজ্য প্রসারে রয়েছে নানাহ বির্তক। ভিনদেশীয় পন্যগুলো আমদানীর অন্তরালে চোরাপথে হুন্ডি-ডলার কিংবা মুদ্রা পাচার এবং চোরা পথে আমদানী-রপ্তানী ক্ষেত্রে অভিনব পন্থায় সরকারি মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও আয়কর ফাঁকি দিচ্ছে পাইকারী আড়ৎদাররা। এ অঞ্চলে কিছু কিছু দেশীয় পন্য ভিন দেশীয় পণ্যের প্রভাবে বাজার মূল্যে টিকে থাকতে হিমশিম খাচ্ছে। অথচ দেশীয় উৎপাদিত পন্য আর্ন্তজাতিক পন্যের বাজারে অন্যান্য দেশীয় পন্যের সাথে ভারসাম্য রেখে প্রতিযোগিতা করছে। বিশেষ করে এ অঞ্চলে হাট-বাজার ব্যবসায়ীদের বিগত ১৫ বছর যাবত লোকসান গুনতে হয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। অর্থনৈতিক ও নোংরা রাজনীতির কারণে এ অঞ্চলে ব্যবসায়ীদের ভাগ্য পরিবর্তনে কোন সংস্কার কিংবা উন্নয়নের অগ্রগতি নেই।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসন এবং ব্যবসায়ী সমিতির একাধিক কর্মকর্তার মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments