লাকসাম প্রতিনিধি :
লাকসাম চট্টগ্রাম বিভাগের কুমিল্লা জেলার অন্যতম প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা লাকসাম, শিল্প ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ এই পৌরসভায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিভিন্ন ধরনের উৎসব, সামাজিক সংগঠন ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধরে রাখতে যে নেতৃত্ব আবশ্যক—তার প্রতীক হয়ে সামনে এলেন এডভোকেট বদিউল আলম সুজন।
তিনি এক উদীয়মান ব্যক্তি, যিনি সবার কাছে এখন “আশার আলো” হিসেবে পরিচিত। লাকসাম জেলে পাড়া জলবদ্ধতা নিরসনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলেন দৌলত গঞ্জ বাজার বণিক সমিতির সভাপতি এডভোকেট বদিউল আলম সুজন। এ সময় জেলেপাড়া কালী মন্দির কমিটির সদস্য জয়দেব সাহা সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। লাকসাম পৌরসভা—যেখানে গাজীপুর,কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রামে রেলওয়ের সংযোগ, ডাকাতিয়া নদী ও শিল্প–বাণিজ্যের মেলবন্ধনের বৈচিত্রময় বুনন—সেখানে ধর্মীয় বৈচিত্র্য ও ঐতিহ্য অনেকাংশে প্রতিষ্ঠিত। সনাতন উপাসনালয়ের জগন্নাথ মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখানে স্থানীয় মহিমা ও সামাজিক ঐক্যের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় ।
এই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থেকে এবার লাকসামের মানুষ খুঁজছে এমন সাহসী ও সদা সেবা-প্রতিশ্রুতকে, যারা ঐতিহ্য রক্ষা ও ঐক্যবোধের সঙ্গে পাশাপাশি আধুনিক চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতেই পারে—সেখানেই প্রতিযোগী “সুজন”। এড. বদিউল আলম“সুজন”ব্যক্তিত্ব ও অভিজ্ঞতাদীর্ঘদিন ধরে সামাজিক ও ধর্মীয় কর্মকাণ্ডে যুক্ত; হিন্দু অনুষ্ঠান আয়োজনে, পূজা উদযাপন পরিষদে সম্পৃক্ত—তার নেতৃত্ব ও দক্ষতা প্রতিপন্ন করছে, বিশেষ করে দুর্গাপূজা, রাসমণ্ডপ নিরাপত্তা এবং সংগঠন চর্চায় সার্বজনীন সাম্প্রদায়িক ঐক্যবোধ জামায়াতে ইসলামীর মতো সংগঠনসহ আলোচনায় অংশগ্রহণ ও হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে সাংস্কৃতিক এবং সামাজিক প্রতিপক্ষ তৈরি থেকে দূরে থাকার বার্তা জানাচ্ছেন। সনাতন সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণ উৎসবকে আরও সুন্দর ও নিরাপদ করতেপূজা মণ্ডপে নিরাপত্তা, দুর্গাপূজার শান্তি, মণ্ডপগুলোর সহযোগিতা—এসব কর্মকাণ্ডে সুজন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।সহযোগিতা ও প্রতিরক্ষাস্থানীয় প্রশাসন, জামায়াত–ছাত্রশিবির সঙ্গেও সমন্বয় রেখে নিরাপত্তা সৃষ্টির লক্ষ্যতে এগিয়ে আসছেন—এতে উপকৃত হচ্ছে স্থানীয় ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়। চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বৈশ্বিক ও স্থানীয় উদ্বেগ:তৃতীয় পক্ষের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বা সামাজিক বিশৃঙ্খলা চালানো কখনোই কাম্য নয়—সেজন্য পূজা লগ্নে মণ্ডপ পর্যবেক্ষণ, মন্তব্য উদ্বেগ-নিদ্রিষ্ট তত্ত্বাবধানে নির্দিষ্ট উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে ।
সনাতন সম্প্রদায়ের উন্নয়ন:সংস্কৃতি, শিক্ষা, সামাজিক কল্যান—এই তিন ক্ষেত্রেই সুজনের আগ্রহ; ভবিষ্যতে মন্দির সংস্কার, সাংস্কৃতিক পাঠ্যক্রম, তরুণদের জন্য সাংস্কৃতিক কর্মশালা আয়োজন ইত্যাদি পরিকল্পনা রয়েছে। প্রতিদান ও প্রত্যাশা এডভোকেট বদিউল আলম সুজনের প্রতি চাহিদা ও আস্থা ইতিমধ্যে দাঁড়িয়েছে ভরসার ভিত্তিতে। স্থানীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা তাঁর সেবা ও ভূমিকার স্বীকৃতিস্বরূপ গৌরবিত। সাংস্কৃতিক কর্মীদের অনুসারীরা তাঁকে “আশার প্রতিমূর্তি” হিসেবে স্মরণ করছেন।
সাধারণ মানুষ মনে করছেন, “যদি প্রকৃত নেতৃত্ব ও সম্প্রদায়ের সাথেই এক সূত্রে বাঁধা যায়—তাহলে লাকসামের সনাতন ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ ও নিরাপদ থাকবে।” এডভোকেট বদিউল আলম “সুজন”—এই নামমাত্র ব্যক্তি না, বরং একটি চেতনা, এক অর্থবোধ, এক উদ্দীপনা; যার মাধ্যমে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাংস্কৃতিক অধিকার, নিরাপত্তা, এবং সম্মান ইস্যুতে নাগরিক সমাবেশের শিল্প যোগ হচ্ছে। মূল চ্যালেঞ্জ হবে—তার নেতৃত্বের স্থায়িত্ব নিশ্চিত করা, মানুষের আস্থা ধরে রাখা এবং বহুধর্মীয় ঐক্য সুদৃঢ় করা।
লাকসাম পৌরসভায় এগিয়ে চলার সবচেয়ে বড় চাবিকাঠি হতে পারে এমন চরিত্র; একসময় জাতির মুখ হয়ে বিশ্বদরবারে এডভোকেট বদিউল আলম “সুজন” নামে পরিচিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


