Friday, December 5, 2025
Google search engine
Homeনির্বাচিত সংবাদনির্বাচনকে ব্যাহত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি পরিকল্পিত : বিএনপি

নির্বাচনকে ব্যাহত করতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি পরিকল্পিত : বিএনপি

বিএনপি মনে করছে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে’। গতকাল রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এমনটি উঠে আসে।

সভায় ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির সভায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দুর্বৃত্ত ও সমর্থকদের হামলায় চারজন নিহত হওয়ায় গভীর নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

বিএনপি মনে করে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সমর্থকেরা পরিকল্পিতভাবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে নস্যাৎ করার জন্য ফ্যাসিস্টবিরোধী আন্দোলনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালনকারী জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে আক্রমণের ঘটনা ঘটায়। ফলশ্রুতিতে সরকারকে ১৪৪ ধারা ও কারফিউ জারি করতে হয়; যা এই মুহূর্তে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার নীল নকশা। এই প্রসঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করা হয় সভায়।

‘রাজনৈতিক দলগুলো অত্যন্ত সর্তকতার সাথে তাদের কর্মসূচী নির্ধারণ করবে। অন্যথায় গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে সুযোগ করে দেয়া হবে’ বলেও মন্তব্য করে বিএনপি।

‘সভায় জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকের সর্বশেষ অগ্রগতি সম্পর্কেও আলোচনা হয়।’

বিএনপি মনে করে, গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে বিঘ্নিত করার জন্য এবং আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রতিশ্রুত নির্বাচনকে ব্যাহত করার জন্য একটি মহল পরিকল্পিতভাবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাচ্ছে। মবোক্রেসি, হত্যা, ছিনতাই, ডাকাতি, চাঁদাবাজি ইত্যাদি অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর অযোগ্যতা ও নির্লিপ্ততা পরিস্থিতিকে আরো অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টারা গণমাধ্যমে শুধুই কথাই বলছেন। কিন্তু কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন।

এ সময় সভা থেকে ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের জন্য অতিদ্রুত সব ধরনের ব্যবস্থা নিতে সরকারকে আহ্বান জানানো হয়।’

বিএনপি মনে করে, সম্প্রতি মিটফোর্ডের নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বিএনপিকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে জড়িয়ে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শিষ্টাচার বিবর্জিত বক্তব্য ও স্লোগানে গোটা জাতিকে স্তম্ভিত। বিশেষ করে স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তম, বিএনপির চেয়ারপার্সন গণতন্ত্রের আপোষহীন নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের তরুণ জনপ্রিয় নেতা তারেক রহমান সম্পর্কে রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিবর্জিত যে সকল অশ্লীল বক্তব্য ও স্লোগান গোটা জাতিকে বিক্ষুব্ধ করেছে, সভা এসব কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানায়।

সভা মনে করে, এই ধরনের কর্মকাণ্ড শুধুমাত্র রাজনৈতিক পরিবেশকেই বিনষ্ট করবে না; গণতন্ত্রের উত্তরণের পথকে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করবে।

সভা আশা করে সকল রাজনৈতিক দল পারস্পরিক মর্যাদা ও সৌহার্দের বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে এই ধরনের অরাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকবে। একইসাথে মিটফোর্ডসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানায় এবং অবিলম্বে অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়।

বিএনপি’র জাতীয় স্থায়ী কমিটির গুলশান কার্যালয়ে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহ উদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মেজর (অব:) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, অধ্যাপক ডা: এ জেড এম জাহিদ হোসেন।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments