বিশেষ প্রতিনিধি, মুজিবনগর: শিশুদের অধিকার ও সুরক্ষার বিষয়ে গণসচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় অনুষ্ঠিত হলো একটি বর্ণাঢ্য প্রচারাভিযান। ‘শিশু অধিকার জানি, অন্যকে জানাই’—এই প্রতিপাদ্যে গুডনেইবার্স বাংলাদেশ, মেহেরপুর সিডিপি এর উদ্যোগে বৃহস্পতিবার উপজেলা অডিটোরিয়ামে আয়োজন করা হয় দিনব্যাপী অনুষ্ঠান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুডনেইবার্স বাংলাদেশ-এর ম্যানেজিং ডিরেক্টর বার্টিন গমেজ। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল, গুডনেইবার্সের প্রোগ্রাম ইমপ্লিমেন্টেশন ডিপার্টমেন্টের ডিরেক্টর আনন্দ কুমার দাস, জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন উদ্দিন আল আজাদ, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সেলিম রেজা, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাহামুদুল হাসান, বিওয়াইএফসি ম্যানেজার জন অমৃত মণ্ডল, সিডিসি সভাপতি জহিরুল ইসলাম, এবং প্রজেক্ট ম্যানেজার বিপুল রেমা।
সভায় বক্তারা বলেন, শিশুরা যেন বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম এবং সহিংসতা থেকে মুক্ত থেকে একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশে বড় হতে পারে, তার জন্য রাষ্ট্রীয় ও সামাজিকভাবে শক্তিশালী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। তারা বলেন, শিশুদের কণ্ঠস্বরকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং তাদের মতামত গ্রহণযোগ্য ও কার্যকরভাবে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, শিশুদের শুধু সুরক্ষা দিলেই চলবে না—তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতন করে তুলতে হবে, যাতে তারা নিজের জীবনকে গড়ার পথে স্বাধীনভাবে এগিয়ে যেতে পারে।
অনুষ্ঠানে এক বিশেষ মুহূর্তে ব্রেইন টিউমারে আক্রান্ত বাগোয়ান গ্রামের শিশু মাইয়াজ-এর পরিবারের জন্য গুডনেইবার্সের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকার অনুদান প্রদান করা হয়। এই তহবিল সংগৃহীত হয়েছে অনলাইন ক্যাম্পেইন ও গুডনেইবার্সের নিজস্ব ফান্ড থেকে।
উল্লেখযোগ্য সংখ্যক অংশগ্রহণকারী—সিডিপি কর্মী, সিডিসি চেয়ারপারসন, সিএমসি সদস্য, শিক্ষার্থী, শিক্ষক, সরকারি কর্মকর্তা, স্থানীয় বিশিষ্টজন ও বিভিন্ন এনজিও প্রতিনিধি—এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন। গুডনেইবার্স বাংলাদেশের কান্ট্রি হেডসহ ইউনো এবং এডিসি (রাজস্ব) এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা পর্বের পর শিশুদের পরিবেশনায় এক সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এতে গান, কবিতা, নৃত্য, নাটিকা ও পালাগান পরিবেশন করে শিশুরা। তাদের উপস্থাপনায় উঠে আসে শিশু অধিকার নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ বার্তা।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে প্রজেক্ট ম্যানেজার বিপুল রেমা উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানানোর মাধ্যমে অনুষ্ঠানটির সমাপ্তি ঘোষণা করেন।


