Friday, December 5, 2025
Google search engine
Homeজাতীয়লাকসামের হাটে শীতকালিন শাকসবজির দামে ক্রেতারা প্রতারিত

লাকসামের হাটে শীতকালিন শাকসবজির দামে ক্রেতারা প্রতারিত

মশিউর রহমান সেলিম. লাকসাম, কুমিল্লা:
কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তর লাকসাম হাটে-বাজারে শীতকালিন শাক-সবজি আসতে শুরু করলেও সরবরাহ কম হওয়ায় এবং কতিপয় সিন্ডিকেট ব্যবসার ফলে পাইকারী ও খুচরা বাজারে দাম লাগামহীন হয়ে উঠেছে। এতে ভাল দাম পেয়ে এলাকার কৃষকরা মহাখুশি হলেও ক্রেতারা বাড়তি দামের কারণে অখুশি। বিশেষ করে বানিজ্যিক ভাবে টমেটো,বেগুন, করলা, ঝিঙ্গা ও সীমসহ বিভিন্ন শাক সবজির বাজার মূল্য লাগামহীন পাগলা ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।

জানা যায়, উপজেলার কৃষকরা লাভবান হওয়ায় প্রতিবছর এ সময়ে শীতকালিন শাক-সবজি চাষের আগ্রহ দিন দিন বাড়ছে। বর্ষাকালের শেষ মুহুর্তে প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, ক্ষরা, জলবায়ুর পরিবর্তন ও জলাবদ্ধতাসহ নানাহ অজুহাতে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের বাজারে কয়েক দফা বেড়ে শাক-সবজির দাম এখন ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। চলমান আশি^ন-কার্তিক মাসকে সামনে রেখে পাইকারী ও খুচরা বাজারে প্রতি কেজি শাক-সবজির দাম ৮/১০ টাকা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। এ দিকে কাঁচামালের বড় মোকাম লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজার। এখানে রয়েছে প্রায় ২৫/৩০টি কাঁচামালের আড়ৎ। প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনে বিভিন্ন মোকাম থেকে আসা কাঁচামালগুলো আড়তে আসা মাত্রই স্থানীয় খুচরা দোকানসহ বিভিন্ন হাটবাজারে চলে যায়। এ সুযোগ নিয়ে স্থানীয় কাঁচামাল সিন্ডিকেট চক্র বিভিন্ন অজুহাতে পন্যের দাম বাড়িয়ে নিজেদের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। চলমান সময়ে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি ও সকল সেক্টরে অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে প্রতিদিন রাতে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে কাঁচামাল বোঝাই ট্রাকসহ বিভিন্ন পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় বাড়ছে। ফলে প্রচুর সরবরাহ থাকা স্বত্তে¡ও শীতকালীন সবজির বাজার অনেকটাই চড়া। যেমন গত কয়েকদিন পাইকারী বাজারে বিক্রি হয়েছে মূলা ৫০/৬০ টাকা, বেগুন ৭০/৮০ টাকা, পাতা কপি ৭০ টাকার স্থলে ৮০ টাকা, কাঁচা মরিচ ১৮০ টাকা স্থলে ২০০ টাকা, পটল ৬০ টাকার স্থলে ৮০ টাকা, সীম ৮০ টাকার স্থলে ১৪০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। এছাড়া পরিবহন খরচসহ অন্যান্য খাতে ব্যয় ধরে খুচরা বাজারে কেজিতে আরও ৫/৭ টাকা লাভে বিক্রি করতে হয়।

স্থানীয় বাজারের খুচরা বিক্রেতা খোরশেদ আলম জানায়, প্রতি কেজি মূলার শাক ২০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা, পালং শাক ২০ টাকার স্থলে ৫০ টাকা, লাল শাক ২০ টাকার স্থলে ৬০ টাকা সহ অন্যান্য শীতকালীন সবজি ১০/১৫ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। চলতি বছর শীতকালীন শাক-সবজি চাষে প্রাকৃতিক দুর্যোগের বার বার হানা, সরকারীভাবে কারিগরী সহায়তা এবং বীজতলা থেকে জমিতে চারারোপন এবং উন্নত বীজ, কীটনাশকসহ কৃষি উপকরনে সহায়তা দিতে দু’উপজেলার কৃষি বিভাগ সম্পূর্ন ব্যর্থ হয়েছে। তার ্উপর উপজেলা দুটোর হাটবাজারে কৃষি উপকরণে নি¤œমান ও ভেজাল সামগ্রী উচ্চমূল্যে বিক্রিতে ক্রেতারা প্রতারিত এবং উপজেলা কৃষি বিভাগের বিভিন্ন সেক্টরের কর্মকান্ড নিয়ে কর্মকর্তা- কর্মচারীদের রহস্যজনক ভূমিকায় এলাকার জনমনে নানাহ কানাঘুষা হচ্ছে।

লাকসাম উপজেলা কৃষি বিভাগের জনৈক কর্মকর্তা জানায়, এ অঞ্চলে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে। স্থানীয় কৃষকরা এ বছর পর পর প্রাকৃতিক দূর্যোগের শিকার হলেও ফুল ও ফল ভাল থাকায় এবং বাজারে কাঁচামালের দাম ভাল পাওয়ায় স্থানীয় কৃষকরা অত্যন্ত খুশি তবে ক্রেতা সাধারণ অনেকটাই দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments