Saturday, December 6, 2025
Google search engine
Homeরাজধানীলাকসামে জমে উঠেছে বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত সুপারী ব্যবসা

লাকসামে জমে উঠেছে বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত সুপারী ব্যবসা

মশিউর রহমান সেলিম, লাকসাম
কুমিল্লা দক্ষিনাঞ্চল বৃহত্তর লাকসামের সবক’টি উপজেলার হাট-বাজার জুড়ে বিষাক্ত দ্রব্য মিশ্রিত সুপারী ব্যবসা যত্রতত্র ভাবে জমে উঠেছে। এতে সকল শ্রেণি মানুষের স্বাস্থ্য ঝুঁকি মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। সুপারী পন্যটি পান, চুনসহ মসল্লার সাথে কাঁচা কিংবা শুকনো সমভাবেই খাওয়া যায়। মানবদেহ চাঙ্গা রাখতে এ সুপারী প্রায় ৬ কাপ কপির সমান কার্যকর বলে অভিমত অনেকের। এ অঞ্চলের প্রায় ৯০ ভাগ মানুষ মেহমান আপ্যায়ন, বিয়ে বাড়ীসহ নানাহ সামাজিক অনুষ্ঠানে এ সুপারী খেয়ে থাকেন। আবার এক শ্রেণির মানুষ এটিকে সাধারনতঃ দেখা হয় ভালোবাসার প্রতীক কিংবা মানব দেহের কিছুৃ কিছু রোগের প্রতিকার হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন।

প্রতিবছর এ অঞ্চলের মানুষ এ সুপারী খাওয়ার ফলে মানবদেহে নানাহ ভাবে স্বাস্থ্য ঝুঁকির শিকার হচ্ছেন। বিশেষ করে মুখে, গলায় ক্যান্সারসহ নানাহ জটিল রোগের মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে। এ সুপারীকে নীরব ঘাতক হিসাবে উলে­খ করেছেন কেউ কেউ। কারন হিসাবে এ সুপারীতে রয়েছে নিকোটিন, অ্যালকোহল ও ক্যাফেইনের উপাদানের প্রভাব এবং আবেগ প্রবন মাদক হিসাবেও উল্লেখকরেন কেউ কেউ। যদিও সকল শ্রেণির মানুষ কেউ শখ করে কিংবা দৈনন্দিন তালিকা এবং পারিবারিক ঐতিহ্য হিসাবে এ পান সুপারীকে ব্যবহার করছে। এর মধ্যে কর্মক্ষম পুরুষ ও বৃদ্ধনারীদের মাঝে এর ব্যবহার বেশি। পাইকারী ও খুচরা দোকানীরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কাঁচা সুপারী সংগ্রহ করে শুকিয়ে ফরমালিনসহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য মিশ্রন পানিতে ৪/৫ দিন ভিজিয়ে কিংবা পঁচা-কাদা মাটির গর্তে এবং মাটির পাতিল ও বড় ড্রামে ৮/১০ দিন ভিজিয়ে রেখে শুকিয়ে অবশেষে চিকন চিকন ভাবে কেটে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করছেন।

স্থানীয় ওইসব ব্যবসায়ীরা বিশেষ বিশেষ দিন কিংবা নানাহ অনুষ্ঠান ঘিরে গলাকাটা দামে বিক্রি করছে। কিন্তু এ সুপারীর অভ্যন্তরে কি আছে এবং এ ব্যবসার প্রসার কি ভাবে বাড়ছে তা কিন্তু কেহই জানে না। এ অঞ্চলে পারিবারিক ভাবে ছাড়া দৃশ্যমান কোন সুপারী বাগান নেই। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন জেলার হাট-বাজার থেকে নানাহ জাতের সুপারী সংগ্রহ করে থাকেন। দামের বেলায় পাইকারী ও খুচরার ক্ষেত্রে অনেক তফাৎ। খুচরা বাজারে কাঁচা সুপারী প্রতি ডজন ৬০/৮০ টাকা এবং শুকনো সুপারী প্রতি কেজি ৩৫০/৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মূলতঃ এ পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে কার কি ভূমিকা কেউ কিন্তু খবর রাখেন না।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments