যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে সহিংসতার আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
মঙ্গলবারের (৫ নভেম্বর) নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কমলা হ্যারিসের মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এর ফলে সম্ভাব্য রাজনৈতিক সহিংসতা এড়াতে দেশজুড়ে নানা ব্যবস্থা নিয়েছে মার্কিন প্রশাসন।
নেভাদার লাস ভেগাসে ভোট গণনার কেন্দ্র ঘিরে নিরাপত্তা প্রাচীর তৈরি করা হয়েছে। ২০২০ সালের নির্বাচনের সময় যেসব স্থানে ট্রাম্পের সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছিলেন, এবার সেসব জায়গা বিশেষ নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। নেভাদা ও অ্যারিজোনার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোর ক্ষেত্রে এই কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়।
এরই মধ্যে অ্যারিজোনার মারিকোপা কাউন্টিতে ভোট গণনা কেন্দ্রের চারপাশে ধাতব বেড়া স্থাপন করা হয়েছে। অ্যারিজোনা কাউন্টির শেরিফ রাস স্কিনার বলেছেন, সহিংসতার আশঙ্কায় তার দপ্তর উচ্চ সতর্কতা অবস্থায় রয়েছে। ভোটকেন্দ্রের চারপাশে পর্যবেক্ষণ চালাতে ড্রোন মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সামলাতে প্রস্তুত রাখা হয়েছে স্নাইপারসহ বিশেষ বাহিনী।
বিশেষ করে, ভোটের পরবর্তী দিনগুলোতে পরিস্থিতি আরও উত্তেজনাপূর্ণ হয়ে ওঠার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। এ কারণে ভোট গণনার পরেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করবে এবং যেকোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে ‘জিরো টলারেন্স (শূন্য সহনশীলতা) নীতি প্রয়োগ করা হবে।
কঠোর নিরাপত্তা শুধু গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যগুলোতেই সীমাবদ্ধ নেই। আলাবামা, অ্যারিজোনা, ডেলাওয়ারসহ ১৯টি অঙ্গরাজ্যে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েন করা হয়েছে বা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এদিকে, অ্যারিজোনায় প্রার্থনা কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত অনেক স্কুল ও চার্চ ভবন এবারের নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভোটের সময় সহিংসতা রোধে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নেতা ও ধর্মভিত্তিক গোষ্ঠীগুলো জনগণের মধ্যে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সক্রিয় ভূমিকা রাখছেন।
মিশিগানের ডেট্রয়েটে ভোট গণনা কেন্দ্রের আশেপাশে মেটাল ডিটেক্টর এবং পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। কর্তৃপক্ষ আশা করছে, ভোট গণনা চলাকালীন সহিংসতার ঘটনা এড়াতে পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে তারা।
সূত্র: রয়টার্স