হামাস ও ইসরাইলের যুদ্ধবিরতির মধ্য দিয়ে হোয়াইট হাউজে দ্বিতীয়বারের মতো আসীন হলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টানা ১৫ মাসের রক্তক্ষয়ী সংঘাত এবং বিপুল প্রাণহানি থেমেছে এই যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে। এদিকে বুধবার টাইমস অব ইসরাইল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, শীঘ্রই মধ্যপ্রাচ্য সফরের পরিকল্পনা করেছেন ট্রাম্প। তবে তা তাত্ক্ষণিকভাবে হবে না।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্প বলেন, আমরা মধ্যপ্রাচ্যে যাওয়ার কথা ভাবছি, তবে এখনই নয়।
তিনি জানান, সফরের সময়সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।
ট্রাম্পের এই মন্তব্য তার রাজনৈতিক অবস্থানকে আবারও সামনে এনেছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে তার সময়ে, তিনি প্রভাবশালী মধ্যপ্রাচ্য নীতি গ্রহণ করেছিলেন। বিশেষত ইসরাইল এবং আরব দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে।
এদিকে ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যপ্রাচ্য বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ সোমবার নিশ্চিত করেছেন, তিনি গাজা সফর করতে যাচ্ছেন। সফরের উদ্দেশ্য হলো বন্দি বিনিময় চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ করা।
ট্রাম্প এ প্রসঙ্গে বলেন, আমরা একটি চুক্তির মধ্যে আছি, যার মাধ্যমে বন্দিরা ফিরছে।
তিনি উল্লেখ করেন, কিছু বন্দি শারীরিকভাবে অস্বাস্থ্যকর অবস্থায় ফিরেছেন, যেমন এমিলি দামারি, যিনি ৭ অক্টোবর হামলার সময় আহত হন এবং সম্প্রতি মুক্তি পান, কিন্তু তার দুটি আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে।
ট্রাম্প আরও বলেন, যদি আমি এখানে না থাকতাম, তাহলে তারা কখনোই ফিরে আসত না।
ইসরাইল ও আরব কূটনীতিকরা ট্রাম্প এবং উইটকফের কৃতিত্ব স্বীকার করেছেন। বিশেষ করে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে চাপে রেখে বন্দি বিনিময় চুক্তি সম্পন্ন করতে জোর দিয়েছিলেন ট্রাম্প। যদিও বাইডেন প্রশাসনও একাধিক চেষ্টা করেছে, তবে ট্রাম্পের কড়া দৃষ্টিভঙ্গি এবং দ্রুত পদক্ষেপের ফলে চুক্তি দ্রুত সম্পন্ন হয় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
ট্রাম্প দাবি করেন, বাইডেন এটা করতে পারেননি, আর আমি যে ডেডলাইন চাপিয়েছিলাম, তার মাধ্যমেই এটি সফল হয়েছে।
গত মাসে ট্রাম্প হুমকি দিয়েছিলেন, ২০ জানুয়ারির মধ্যে বন্দিরা মুক্তি না পেলে মধ্যপ্রাচ্যে সবকিছু এলোমেলো হয়ে যাবে।