Friday, December 5, 2025
Google search engine
Homeআন্তর্জাতিকমাস্কের ই-মেইলের জবাব না দিতে কর্মীদের নির্দেশ দিল পেন্টাগন

মাস্কের ই-মেইলের জবাব না দিতে কর্মীদের নির্দেশ দিল পেন্টাগন

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটির ফেডারেল সরকারের কর্মচারীদের কাছে সম্প্রতি ই-মেইল পাঠিয়েছে। গত শনিবার সন্ধ্যায় পাঠানো ওই ই-মেইলে কর্মচারীদের আগের সপ্তাহের কাজের বিবরণ দিতে বলা হয়েছে।

৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জবাব না দিলে তাদের চাকরি হারানোর ঝুঁকির কথা বলা হয়েছে ই-মেইলে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল সরকারের অন্তত ৩টি সংস্থা ইলন মাস্কের নেতৃত্বাধীন ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) পাঠানো ই-মেইলের জবাব না দিতে কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছে। সোমবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।

বার্তাসংস্থাটি বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত তিনটি ফেডারেল সংস্থা — এফবিআই, স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং পেন্টাগন — প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের অধীনে গভর্নমেন্ট ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সির (ডিওজিই) নেতৃত্বদানকারী ইলন মাস্কের একটি নির্দেশ উপেক্ষা করার জন্য কর্মচারীদের নির্দেশ দিয়েছে বলে রোববার মিডিয়া রিপোর্টে উঠে এসেছে।

সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে দেওয়া পোস্টে মাস্ক তার দাবিকে আরও শক্তিশালী করে বলেছেন, জবাব দিতে ব্যর্থ হলে তা পদত্যাগ হিসেবে নেওয়া হবে। তিনি এই প্রয়োজনীয়তাটিকে ‘প্রেসিডেন্ট (ট্রাম্পের) নির্দেশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ’ হিসেবেও বর্ণনা করেছেন।

মূলত মাস্কের এই ই-মেইলের জেরে প্রশাসনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। আর সেই প্রেক্ষাপটেই মার্কিন সরকারের এই তিন সংস্থা তাদের কর্মীদের মাস্কের ই-মেইলের জবাব না দিতে পরামর্শ দিল।

যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (এফবিআই) ডিরেক্টর কাশ প্যাটেল তার কর্মীদের ‘কোনও ধরনের প্রতিক্রিয়া দেওয়া থামাতে’ বলেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, তার সংস্থাটি স্বাধীনভাবে অভ্যন্তরীণ পর্যালোচনাগুলো পরিচালনা করবে।

অন্যদিকে মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের একজন কর্মকর্তা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, কোনও কর্মচারী তাদের ডিপার্টমেন্ট চেইন অব কমান্ডের বাইরে তাদের কার্যকলাপের বিষয়ে অন্যত্র রিপোর্ট করতে বাধ্য নয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ পেন্টাগনও অনেকটা একই ধরনের কথা জানিয়েছে। পেন্টাগনের সিনিয়র কর্মকর্তা ড্যারিন সেলনিক ই-মেইলের মাধ্যমে কর্মীদের বলেছেন, যখন এবং যদি কখনও প্রয়োজন হয় তাহলে ওপিএম থেকে আপনারা যে ই-মেইল পেয়েছেন সেগুলোর প্রতিক্রিয়াগুলো সমন্বয় করবে (প্রতিরক্ষা) বিভাগ।

অবশ্য হোয়াইট হাউস এই বিতর্কের বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি, তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মাস্কের প্রচেষ্টার প্রশংসা করে বলেছেন, ‘সরকারি বর্জ্য, জালিয়াতি এবং অপব্যবহারের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাচ্ছে’ ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিসিয়েন্সি (ডিওজিই)।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments