লাকসামে গাজিমুড়া আলিয়া মাদ্রাসায় শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও মা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারী) সকালে গাজীমুড়া কামিলফ (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গনে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকবৃন্দের সমন্বয়ে অভিভাবক ও মা সমাবেশের আয়োজন করে।
গাজিমুড়া কামিল মাদ্রাসার (স্নাতকোত্তর) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল হান্নানের সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ ড. আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ড. হেফজুর রহমান তিনি তার বক্তব্যে বলেন, স্কুলের তুলনায় মাদ্রাসায় শিক্ষা ব্যবস্থার মান কোন অংশে কম নয়। মাদ্রাসায় আপনার সন্তান পড়ালেখা করলে দ্বীনি শিক্ষা সহ সুশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার সুযোগ বেশি থাকে।
মাদ্রাসা থেকে দাখিল পাস করে অনেক ছাত্র বর্তমান দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করেছেন। শুধু তাই নয় কেউ ডাক্তার, কেউ ইন্জিনিয়ার, কেউ ব্যাংকার হিসেবে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত আছেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন কুমিল্লা জেলা জজ আদালতের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ বদিউল আলম সুজন তিনি বলেন, বর্তমান এই যুগে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার উপর মনোযোগী হওয়ার বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ফাকি দেওয়ার অন্যতম কারন হচ্ছে ফেইসবুক, ইন্টারনেট, ইউটিউব, ইত্যাদি। তারা এসবের দিকে আকৃষ্ট হয়ে পড়ালেখায় অমনুযোগী হয়ে পড়ছে কি-না এসবের কুফল সম্পর্কে ধারনা দেয়া হয় অভিভাবকদের। শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ক্ষেত্রে গুরুত্ব প্রদানের জন্য অভিভাবকদেরও অগ্রনী ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষার্থীরা পড়ালেখায় ফাকি দিচ্ছে কিনা সে দিকে লক্ষ রাখতে হবে। মাদ্রাসায় পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়িতে পড়ালেখা করছে কিনা সে দিকে নজর দিতে হবে। এছাড়া কিছুদিন পরপর শিক্ষার্থীর বিষয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের সাথে অভিভাবকদের খোঁজ-খবর নেওয়ার জন্য আহবান জানান তিনি।
এছাড়াও সমাবেশে শিক্ষার মান উন্নয়ন, শিক্ষার্থীদের সার্বিক কল্যাণে অভিভাবকদের করণীয়তা নিয়ে আলোচনা ও অভিভাবকদের মতামত গ্রহণ করা হয়। এসময় অভিভাবক সমাবেশে অত্র মাদ্রাসার শিক্ষক , শিক্ষিকাবৃন্দ ও প্রায় শতাধিক অভিভাবক উপস্থিত ছিলেন।
অভিভাবক সমাবেশের গাজিমুড়া কামিল মাদ্রাসার হেড মুহাদ্দিস মাও. আব্দুল হালিম দেশের সার্বিক কল্যাণ ও মাদ্রাসার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করে মোনাজাত পরিচালনার মাধ্যমে সমাপ্তি ঘটে।