বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)-এর আয় মূলত ফিফার অনুদানের ওপর নির্ভরশীল। তবে ২০১৮ সালে আর্থিক অনিয়মের তালিকায় চলে যায় বাফুফের নাম।
যার ফলে আর্থিক অনুদান পেলেও তা নানা নজরদারিতে থাকত, সে অঙ্কটাও খুব বেশি হতো না। এবার সে নিষেধাজ্ঞা থেকে অবশেষে মুক্তি পেয়েছে ফেডারেশন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে বাফুফের একাধিক সূত্র।
২০১৮ সাল থেকে বাফুফে ফিফার আর্থিক অনিয়মের তালিকায় ছিল, যার ফলে ফিফা সাধারণ নিয়মের বাইরে গিয়ে বিশেষ পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে ধাপে ধাপে অর্থ ছাড় করত।
এটি বাফুফের জন্য এক ধরনের বিব্রতকর পরিস্থিতি ছিল। ফিফার অর্থ ব্যবহারের নির্দেশনা সঠিকভাবে না মানার কারণে এই বাড়তি নিয়ম আরোপ করা হয়েছিল।
পরিস্থিতি আরও জটিল হয় যখন ২০২৩ সালে ফিফা বাফুফের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগকে আজীবনের জন্য নিষিদ্ধ করে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে। এরপর নতুন সাধারণ সম্পাদক ইমরান হোসেন তুষার দায়িত্ব নিয়ে বাফুফেকে স্বচ্ছতার পথে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
নতুন সভাপতি তাবিথ আউয়ালও ফিফার প্রতিনিধি দলের সাম্প্রতিক ঢাকা সফরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেন। তাদের লক্ষ্য ছিল বাফুফেকে ফিফার আর্থিক অনিয়মের তালিকা থেকে বের করে আনা।
এ বছর ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে ফিফার একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় আসে বাফুফের অর্থায়ন সংক্রান্ত নিরীক্ষা করতে। বাফুফে আশা করছিল, মার্চের মাঝামাঝি সময়ে তারা ফিফার কাছ থেকে কিছু সিদ্ধান্ত জানতে পারবে। তবে প্রত্যাশিত সময়ের এক সপ্তাহ আগেই, আজ (শুক্রবার) সন্ধ্যায় ফিফার চিঠি এসে পৌঁছায়।
চিঠি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাফুফের সচিবালয় কার্যনির্বাহী কমিটির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এই সুসংবাদটি জানায়। ফিফা বাফুফের জন্য আরোপিত বিশেষ পর্যবেক্ষণ প্রত্যাহার করেছে, যার ফলে এখন থেকে বাফুফে ফিফার অনুদান নিয়মিত কিস্তিতে পাবে।
এটি বাফুফের নতুন কমিটির জন্য স্বস্তির খবর। এখন বাফুফে শুধু নিয়মিত অনুদানই পাবে না, বরং ফিফার অন্যান্য উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য আবেদন করার সুযোগও বাড়বে। বাফুফে মনে করছে, নতুন নেতৃত্বের উদ্যোগ ও সাম্প্রতিক পরিদর্শন প্রতিবেদনের ভিত্তিতেই ফিফা এই ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিয়েছে।