ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও বাজারে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে লাকসাম উপজেলার হাটবাজার ও দৌলতগঞ্জ বাজারের রেলগেইট এলাকাসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ। এসময় দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সতর্ক করে তিনি কঠোর হুশিয়ারি বার্তা দিয়েছেন অসাধু ব্যবসায়ীদের।Pause
এ অভিযানে বাজারে যত্রতত্র অটোরিকশা পার্কিং করে যানজন সৃষ্টিসহ মূল্য তালিকা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদনে বিভিন্ন দোকানে রাস্তায় অভিযান পরিচালনা করেন।
লাকসাম বাজার পরিদর্শনে দেখা যায়, কিছু ব্যবসায়ী নির্ধারিত পণ্যের মূল্য তালিকা প্রদর্শন করছেন না এবং কিছু দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করছে। এছাড়া কলাসহ রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় ফলমূল ঔষধ দিয়ে পাকানোর দায়ে বিক্রেতা ও দোকান মালিককে সতর্ক করা হয়। এতে সাধারণ ক্রেতারা প্রতারিত হচ্ছেন বলে অভিযানকালে জানান উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ।
অভিযানের অংশ হিসেবে ওইদিন বিকালে লাকসাম দৌলতগঞ্জ বাজারের রেলগেট মোড়ের বিভিন্ন দোকানে তল্লাশি চালানো হয়। সেখানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্য উৎপাদন ও সংরক্ষণ করা হচ্ছিল। খাদ্যদ্রব্য তৈরির কাঁচামালের মান নিয়ন্ত্রণের কোনো ব্যবস্থা ছিল না, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের এই অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ইউএনও কাউছার হামিদ জানান, রমজান মাস জুড়ে অভিযান পরিচলনা করা হবে। ভোক্তা অধিকার লঙ্ঘনকারীদের ছাড় দেয়া হবে না। বাজারে পণ্যের মূল্য তালিকা থাকা বাধ্যতামূলক, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করা যাবে না এবং খাদ্য উৎপাদনে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মানতে হবে। যারা এসব আইন মানবে না, তাদের বিরুদ্ধে আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কাউছার হামিদ বলেন- কিছু কিছু ব্যবসায়ী দোকানে পণ্যের নির্ধারিত তালিকা প্রদর্শন করছেন না এবং কিছু দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রি করছেন। এছাড়া কলাসহ রমজানের নিত্য প্রয়োজনীয় ফলমূল ঔষধ দিয়ে পাকানোর দায়ে বিক্রেতা ও দোকান মালিককে প্রথমবারের মতো সতর্ক করে করে দেয়া হয়েছে। এসব বিধি না মানলে পরবর্তীতে আইনগতভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সাধারণ ক্রেতারা প্রতারিত হবেন, এমন কিছু মেনে নেয়া যাবেনা। তবে পর্যায়ক্রমে উপজেলার প্রতিটি বাজার মনিটরিং করা হবে বলে জানান ইউএনও কাউছার হামিদ।