লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ শিরোনামে ৬ মার্চ ও ১৬ মার্চ দৈনিক আজকের জীবন পত্রিকায় দুটি সংবাদ প্রকাশিত হয়।
প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে লাকসামে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি হয় এবং ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তার অপকর্ম ঢাকতে অফিস সহায়কদের নিয়ে দিনরাত পুরনো হিসাব মিলানোর কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে সুত্র জানিয়েছ ১২ বছর যাবত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে কর্মরত থাকা এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের নিকট একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ।
১২ মার্চ স্বাক্ষরিত ৭ পাতা সংযুক্তির ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লাকসাম পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রসরাজ দাসের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, আসদাচরণ ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে।
উক্ত স্কুলে সার্বিক বিষয়ে যথাযথ ভাবে কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করলেও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অসহযোগিতা ও অদক্ষতার কারণে উক্ত স্কুলে শৃঙ্খলা ফেরাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ক্ষমতা কুক্ষিগত করে রাখার জন্য শিক্ষকদের মাঝে বিভিন্ন দল উপদলে বিভক্ত করে রেখেছেন এবং উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে শিক্ষকদের মিটিংয়ে কয়েকজন শিক্ষক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ তোলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উপস্থিতিতে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও অন্যান্যদের সাথে উক্ত রসরাজ দাস খারাপ আচরণ করার কথাও বলা হয়েছে ওই পত্রে।
উক্ত স্কুল নিরীক্ষার জন্য ১৩ ফেব্রুয়ারি একটি অডিট কমিটি গঠন করেন ইউএনও।
ওই কমিটিকে সহযোগিতা না করায় অডিট করেনি ওই কমিটি। অডিট কমিটিকে সহযোগিতা না করা শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও আসদাচরণের শামিল বলা হয়েছে।
এছাড়াও এডহক কমিটির অভিভাবক সদস্যদের অভিযোগ সহ ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি স্কুলের পিঠা উৎসব, রুটিন প্রণয়ন, বাৎসরিক ক্যালেন্ডার ও ডায়েরী ছাপাতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম অবলোকন করেছেন ইউএনও কাউছার হামিদ।
রসরাজ দাস একপাক্ষিক অবস্থান গ্রহণ ও শিক্ষকদের মাঝে বিভাজন সৃষ্টি করায় তার বিরুদ্ধে শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সিভিল সোসাইটি, সাংবাদিক ও অন্যান্য সাধারণ নাগরিকগণ অবস্থান নিয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
সর্বোপরি উক্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণসহ অন্য কাউকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব প্রদান অথবা নিয়মিত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেওয়ার ব্যাপারে মত প্রকাশ করেছেন লাকসাম উপজেলা নির্বাহী অফিসার কাউছার হামিদ।