Friday, December 5, 2025
Google search engine
Homeরাজধানীলাকসামে ঈদুল আজহা ঘিরে সয়াবিন তৈল সংকট

লাকসামে ঈদুল আজহা ঘিরে সয়াবিন তৈল সংকট

 আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে দেশব্যাপী ভৌজ্য তৈলের বাজার মূল্য অস্থিরতায় তার প্রভাব পড়েছে কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চলের বৃহত্তর লাকসাম উপজেলার গুলোর হাটবাজার জুড়ে। নানাহ অজুহাতে ভৌজ্য তৈলসহ অন্যান্য পন্যের বাজারও অস্থির হয়ে উঠেছে।

স্থানীয় মজুতদার ব্যবসায়ীদের ভৌজ্য তৈলের কারসাজি ও সঠিক মান নিয়ন্ত্রন নিয়ে এলাকার জনমনে নানান বির্তক চলছে এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে এ অঞ্চলের মানুষের। কুমিল্লার মানুষকে ভৌজ্য তৈলের মূল্য আর কত দিন নাকানি চুবানি খাওয়াবে। এলাকার জনমনে এ নিয়ে নানাহ ক্ষোভ বাড়ছে। সবই যেন সেন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারসাজি।

বিশেষ করে লাকসামে নামি-দামি ব্র্যান্ডের সয়াবিন তৈল কোম্পানি গুলোর স্থানীয় ডিলারদের গুদামে প্রচুর পরিমান সয়াবিন তৈলসহ অন্যান্য ভৌজ্য তৈল মজুদ থাকলেও কিন্তু বাজারে সংকট সৃষ্টি করে তারা মোটা অংকের টাকা ফায়দা লুটছে। স্থানীয় প্রশাসনের বাজার তদারকী না থাকায় ঐ সব সিন্ডিকেট চক্র অবৈধ ব্যবসা করতে সুযোগ পাচ্ছে বলে দাবী এলাকাবাসীর।

বিশেষ করে মার্চ মাসের শেষের দিকে বর্তমান সরকারের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠকের পর অবশেষে প্রতি লিটার সয়াবিন তৈলের দাম ১৪ টাকা বাড়িয়েছে ভৌজ্য তৈল মিল মালিকরা। ফলে বোতলজাত ১ লিটার সয়াবিন তৈলের দাম বেড়ে এখন ১৮৯ টাকা হয়েছে। এতদিন যা ছিল ১৭৫ টাকা গত ৯ ডিসেম্বর/২৪ সর্বশেষ বোতলজাত সয়াবিন তৈলের দাম বাড়ানো হয়েছিল।


স্থানীয় ভুক্তভোগীদের একাধিক সূত্র জানায়, জেলার হাটবাজার জুড়ে নিত্য প্রয়োজনীয় পন্যের পাশাপাশি ভৌজ্য তৈল কিনতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে এ অঞ্চলের মানুষ। গত দু’সপ্তাহ জুড়ে ভৌজ্য তৈলের মূল্য একাধিকবার বাড়ায় জনমনে স্বস্তি নেই। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সয়াবিন তৈলের ১ লিটার বোতল ১৯৮/২০০ টাকা এবং ৫ লিটার বোতল ৯৫০/৯৮০ টাকা এবং সরিষা তৈল কলে খুচরা-পাইকারী সোয়াবিন তৈলের মূল্যেও চেয়ে আরও বেশি ধরেই বিক্রি হচ্ছে। গতবছরের বাজার দরের তুলনায় এ বছরের শুরুতেই ভৌজ্য তৈলের মূল্য ৪০/৫০ শতাংশ বেশি। তবে এসব ভৌজ্য তৈলের মূল্য বর্তমান বাজার জুড়ে লাগামহীন ঘোড়ার মত লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়লেও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রকাশিত রিপোর্টে উঠে আসে আমরা এসব কি খাচ্ছি তা নিয়ে জনমনে নানান কথা বার্তা উঠে আসছে। ইতি মধ্যে ব্যবসায়ীরা চাল, ডাল, সবজিসহ মসল্লার বাজার দর নিয়ে লুটপাট চালিয়েছেন সেখানে ভৌজ্য তৈল ব্যবসায়ীরা বসে থাকবে এটা কিন্তু আসা করা অলীক কল্পনা ছাড়া কিছুই নয়। এ অঞ্চলে প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে লাকসাম ও মনোহরগঞ্জের নাথেরপেটুয়া সহ বেশক’টি সয়াবিন তৈল তৈরী কারখানা গড়ে উঠলেও বাজার মনিটরিং কমিটির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।


স্থানীয় অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাধিক সূত্র জানায়, এ অঞ্চলে প্রায় ৩ হাজার টন ভৌজ্যতৈলের চাহিদার বিপরীতে স্থাণীয় ভাবে উৎপাদন হচ্ছে মাত্র ১০ ভাগ। ফলে অবশিষ্ট পুরোটাই এলাকার চাহিদা মিটাতে বাহির থেকে আনতে হয়। এ অঞ্চলের হাটাবাজার জুড়ে অতি মুনাফাখোর, অতিলোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা। কেবল মুখে মুখে নয়। ভৌজ্যতৈলসহ নিত্য পন্যের বাজার মূল্যে কারসাজিতে যারা জড়িত তাদের চিহ্নিত করে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। সকলকে মনে রাখতে হবে এ অঞ্চলের সকল শ্রেণি পেশার মানুষের খাদ্য তালিকায় প্রধান উপকরন হচ্ছে ভৌজ্যতৈল। তা স্থানীয় প্রশাসনের যে কোন মূল্যে বাজার দর নিয়ন্ত্রন করা উচিত। আমরা ভৌজ্যতৈলের এ পরিস্থিতির দ্রুত অবসান চাই। জেলা বিএসটিআই ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ সহ একাধিক সংস্থা কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকার মানুষ।


এ ব্যাপারে জেলা- উপজেলা ও বিভাগীয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর কর্মকর্তাদের একাধিক মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments