কুমিল্লার দক্ষিনাঞ্চলর বহত্তর লাকসাম উপজলার প্রত্যÍ অঞ্চল থক গুইসাপ, কছপ, কুইচা, কাকড়া ও ব্যাঙসহ বিভিন উভয়চর ও জলজ প্রাণী ধর নিছ সাওতালসহ বিশষ স¤প্রদায়র লাকজন। তারা ওইসব জলজ প্রাণী ভিনদশ পাচার করছ গাল্ডন ফিস নাম। এত এ অঞ্চলর পরিবশ মারাত্মক হুমকি হয় দখা দিলও জীবিকা নির্বাহর একমাত্র মাধ্যম তাদর। আবার এসব প্রাণী একত্র কর ¯ানীয় প্রশাসনর নাকর ডাগায় বিভিন পরিবহণ জলার সীমাÍ দিয় চারাইপথ পাচার হছ দদারছ। ¯ানীয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনর একটি চক্র এবং রাজনতিক ব্যাক্তিদর যাগসাজস এসব পন্যপাচার সহযাগিতা করছ বল অভিযাগ উঠছ।
জলা দক্ষিনাঞ্চলর একাধিক সুত্র জানায়, জলার ভারত সীমাÍ পরিয় সাওতালসহ বিভিন স¤প্রদায়র লাকজন অবধভাব অনুপ্রবশ কর এ অঞ্চলর ভারসাম্য রক্ষাকারী ওইসব জলজ প্রাণী ধর ভারত, বার্মা, চীন, সিংগাপুর, থাইলন্ড, ভুটান, নপাল, কারিয়া সহ বিভিন দশ চারাইপথ পাচার করছ ওই চক্র। প্রাকতিক পরিবশ মারাত্মক হুমকির মূখ পড়লও এসব প্রাণী সংরক্ষণ ¯ানীয় প্রশাসনর কানা উদ্যাগ নই। সীমাÍ হাট ওইসব জলজ প্রানীর চাহিদা বড় যাওয়ায় চারা পথ পাচার অনকটা জমজমাট হয় উঠছ। বিশষ কর জলা দক্ষিনাঞ্চলর বহত্তর লাকসাম উপজলার উপর দিয় বয় যাওয়া ডাকাতিয়া নদীসহ আশপাশর পুকুর, ডাবা, নালা, খাল-বিল কুইচা, কছপ, কাকড়াসহ বিভিন জলজ প্রাণী পাওয়া যায়। আবার বন-বাদার ও পাহাড় হট চলা হরক রকমর গুইসাপ ও ব্যাঙ রয়ছ প্রচুর। প্রাকতিক ভারসাম্য রক্ষায় এসব প্রাণী বিশষ ভূমিকা রাখ বল জানিয়ছন ¯ানীয় পরিবশবিদরা। বছরর সকল মওসুম এদশীয় লাকজন ছাড়াও ভারত সীমাÍ পরিয় বিশষ স¤প্রদায়র লাকরা দল দল এস বিশষ কায়দায় ওইসব জলজ ও উভয়চর প্রাণী অবাধ ধর নিয় যাছ। এ অঞ্চল প্রায় দড় শতাধিক লাক এ পশার সাথ জড়িত। ¯ানীয় প্রশাসনর চাখ ফাঁকি দিয় ওইসব শিকারীর দল প্রতিদিন বাস, ট্রাক, ট্রনসহ বিভিন যানবাহন কুমিল্লাসহ ভারতীয় সীমাÍ এলাকার হাট চারাপথ নিয় যাছ এসব প্রাণী।
সূত্রগুলা আরও জানায়, জলার বিভিন সীমাÍ হাট প্রতিকজি কুইচা ৫/৬শ’ টাকা, কছপ ৪/৫শ’ টাকা, কাকড়া ৫/৬শ’ টাকা, গুইসাপ সাড় ৪শ’/৫শ’ টাকা, ব্যাঙ দড়/দু’হাজার টাকা দর পাইকারী বিক্রি করা হয়। খুচরা বাজার দাম আরা বশি। এসব প্রাণী ভারত, বার্মা, নপাল, সিঙ্গাপুর, কুরিয়া, থাইল্যান্ড ও চীনর লাকজনর প্রিয় খাবার হিসব চিহ্নিত হওয়ায় ওইসব দশই বশি পাচার হছ। আবার ¯ানীয় বিশষ স¤প্রদায়র লাকজনর প্রিয় খাবারর তালিকায় থাকায় তারাও যত্রতত্র ভাব নিধন করছ ঐসব প্রাণী। ¯ানীয় পরিবশবিদ ও বিশষ স¤প্রদায়র একটি সূত্র জানায়, কুমিল্লার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলর বিভিন সড়ক পথ ওইসব প্রাণী পাচারর নিরাপদ রুট হিসব ব্যবহৃত হছ। এ অঞ্চলর হরক রকম ছদ্দ নাম কয়কটি চারাকারবারী সিন্ডিকটর নিয়¿ণ প্রত্যক্ষ ও পরাক্ষভাব জড়িয় আর্থিকভাব সছল হওয়ার চষ্টা করছ ভারত সীমাÍ অঞ্চলর ২ শতাধিক পরিবার। মুসলমান স¤প্রদায় অধ্যুষিত জলা দক্ষিনাঞ্চলর ৫টি উপজলার জলাঞ্চল ওইসব প্রাণীর চাহিদা না থাকায় বাইর থক আসা বিশষ স¤প্রদায়র লাকজন এগুলা ধরলও ¯ানীয়রা তমন নিষধ কিংবা বাধা দয় না।
সূত্রটি আরা জানায়, কুইচা এক ধরনর মাছ। অঞ্চলভদ কুচিয়া, কুচ মাছ, বাইম নামও পরিচিত এ প্রাণীর বজ্ঞানিক নাম ‘মনাপটরাস’। কুইচা প্রকারভদ ৩০/৪০ সটিমিটার অধিক লম্বা হয়। অগভীর নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডাবা ও নরম মাটির নিচ এদর বসবাস। কুইচা রাক্ষুস স্বভাবর। ছাট ছাট মাছ এদর প্রধান খাবার। শামুক, কঁচাসহ ময়লা-আবর্জনাও খয় থাক। অনক হকিম-কবিরাজ রাগীর পথ্য হিসব কুইচা মাছ খাওয়ার পরামর্শ দিয় থাক। তব বিশষ স¤প্রদায়র কাছ রয়ছ এর বিশষ চাহিদা। এছাড়া ওইসব জলজ প্রানীগুলা কান কান দশ গাল্ডন ফিস হিসব পরিচিত। প্রকার ভদ প্রতিশত গ্রাম ১০ ডলার হিসাব জলা বিভিন সীমাÍ হাট বিক্রি হছ। ওইসব পন্য বড় বড় হাটল-রস্তারায় প্রতি প্লট এদশীয় টাকায় প্রায় ৮’শ টাকায় বিক্রি হছ। চারাপথ এ দশ আসা ভিনদশীয় জলজপ্রাণী শিকারীদর একটি সূত্র জানায়, ভারত সীমাÍর অনক দাদন ব্যবসায়ীরা এসব প্রাণী শিকার সরঞ্জাম কনার জন্য প্রতিনিয়ত বাৎসরিক মাটা অংকর টাকা বিনিয়াগ কর থাক। শিকারীরা বাঁশর তরী চাঁই, জাল, বড়শিসহ বিশষ কায়দায় তরি ফাঁদ কিংবা খালি হাতও অনক বিশষ কশলে এসব জলজ ও উভয়চর প্রাণী ধরছ। পরিবশর ভারসাম্য রক্ষাকারী জলজ, উভয়চর ও বন-বাদাড় হট চলা প্রাণীগুলা অহরহ চারা শিকারীদর কবল পড় প্রতিনিয়ত বিনাশ হছ।
ভিনদশীয় সূূত্রটির দলর সাথ কথা বল জানা যায়, ভারতর ত্রিপুরা রাজ্যর রাজনগর থানার ঘাষখামার গ্রাম থক আসা অনুপ্রবশকারী একদল শিকারীর। কুমিল্লা জলার ভারত সীমাÍ পরিয় আসা শাওতাল যুবক রাজু, শ্যামল, প্রধান, সরকার, কষ্ণনীল, শংকর, নিত্যনারায়ন, দিপু, মনচঙ্গা, শিশির লাল, গাঙ্গুলিসহ বশ কয়কজন শিকারী জানায়, সকল মওসুম এসব প্রাণী ধরা গলও শীতকাল তারা গর্ত ঢুক থাক তখন ধরা খুব কঠিন। বর্ষা মওসুম তমন ধরা না দিলও আমাদর নিজ নিজ কশল বর কর আনত পারি। তারপরও চলমান বর্ষাকাল জীবন-জীবিকার তাগিদ ওইসব প্রানী ধরত হছ। প্রত্যক সপ্তাহ ৩/৪ দিন চারাপথ এ অঞ্চল অনুপ্রবশ কর ওইসব প্রাণী ধর সীমাÍ হাটবাজার গুলাত পাইকারী আড়ত বিক্রি কর থাকি। এটা তাদর বাপ-দাদার পশা।
দলর অপর সদস্য সাওতাল যুবক রাজকুমার জানায়, ‘বিশষ কারণ জলার দু’দশর সীমাÍ রক্ষীরা আমাদর এ পশায় হাত দয় না। অনক দাম হলও এ প্রাণীগুলা সহজ ধরা যায়। ত্রিপুরা রাজ্যর উঁচু পাহাড়ি এলাকায় এগুলা তমন পাওয়া যায় না। সামান্য যা পাওয়া যায় তা ¯ানীয় আমাদর মহিলারা ধর থাক। আর পুরুষরা শিকার কর দূর-দূরাÍ’। ওই যুবক আরা জানায়, ‘আমাদর দল দড়-দু’শ লাক রয়ছ। শিকারকত প্রাণীগুলা দাদন ব্যবসায়ীদর কাছ বিক্রি করার পর অবশিষ্টগুলা নিজদর খাবার হিসব রখ দই’। এ ভাবই চলছ আমাদর জীবন। জলা দক্ষিনাঞ্চল জুড় ওইসব সম্প্রদায়র লাকজনর সাবলম্বী করার লক্ষ্য স্ব স্ব উপজলা মৎস্য দপ্তর নানাহ প্রকল্প হাত নিয়ছ। বিশষ কর এ অঞ্চল প্রায় দশ শতাধিক লাক এ পশার সাথ জড়িত। লাকসাম উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, লাকসাম ৪৫ জন ওই সম্প্রদায়র লাকজনক নানামুখী প্রকল্পর মাধ্যম আর্থিক সহায়তার পাশাপাশি জলজ ও বনজ প্রাণী সংরক্ষণ আমরা কাজ করছি।


