Friday, December 5, 2025
Google search engine
Homeজাতীয়সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা নিজ রিসোর্ট থেকে গ্রেফতার

সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহা নিজ রিসোর্ট থেকে গ্রেফতার

চেক জালিয়াতি মামলায় সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি শামসুদ্দোহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) ঢাকার নবাবগঞ্জে অবস্থিত তার নিজ রিসোর্ট ওয়ান্ডারল্যান্ড গ্রিন পার্ক থেকে তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

নবাবগঞ্জ থানার ওসি মমিনুল ইসলাম  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, শামসুদ্দোহাকে গ্রেফতারের পর আদালতে তোলা হয়েছে।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার নিজ বাহিনীতে দুর্নীতির ‘বরপুত্র’ হিসাবে পরিচিত ছিলেন। অবৈধ অর্থ উপার্জনে তার জুড়ি মেলা ভার। বিশেষ করে প্রেষণে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চেয়ারম্যান পদে যোগ দিয়ে হয়ে উঠেছিলেন বেপরোয়া। বিভিন্ন নদনদী খননকাজের টেন্ডারের কমিশন হিসাবে নিয়েছেন শত শত কোটি টাকা। এছাড়া নদী দখল করে গড়ে তোলা বিভিন্ন শিল্পকারখানা মালিকদের কাছ থেকেও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন। অবৈধ পথে উপার্জিত আয় দিয়ে তিনি বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এর মধ্যে শত বিঘার ওপর খামারবাড়ি গড়ে তুলেছেন ঢাকার উপকণ্ঠ নবাবগঞ্জে। এই খামারে বিনিয়োগ করা হয়েছে কয়েক শ কোটি টাকা।

পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (অ্যাডিশনাল আইজিপি) ড. শামসুদ্দোহা খন্দকার এবং তার স্ত্রী ফেরদৌসী সুলতানার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে ৬৬ কোটি ৪৮ লাখ ৬৯ হাজার ৯৮১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে। দুদক সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের সহকারী পরিচালক খোরশেদ আলম গত বছরের জুলাই মাসে এ চার্জশিট জমা দেন।

দুদকের সূত্রমতে, সাবেক এই পুলিশ কর্মকর্তা বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান ছিলেন। চাকরি করার সময় তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল অর্থ আয় করেন। এসব অর্থ বিভিন্ন তফশিলি ব্যাংকের হিসাবে সন্দেহজনক উৎসের অসামঞ্জস্যপূর্ণ ও অস্বাভাবিক লেনদেন করেন। এই প্রক্রিয়ায় তিনি ২১ কোটি ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা ব্যাংক হিসাবে জমার পর বিভিন্ন প্রক্রিয়ায় তুলে তার অবস্থান প্রকৃতি, উৎস, মালিকানা আড়াল করার চেষ্টা করেছেন।

আরও জানা গেছে, দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৮ কোটি ৪৪ লাখ ১০ হাজার ২২১ টাকার সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপনসহ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন। এছাড়া দুদকের অনুসন্ধানে ২ কোটি ৮৭ লাখ ৩ হাজার ৭৮ টাকার অবৈধ সম্পদের প্রমাণ পাওয়া গেছে। যে কারণে তার বিরুদ্ধে দুদক আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ২৭(১) এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি দমন প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৮ কোটি ৪৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯১ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করা এবং ২৭ কোটি ৪৮ লাখ ৮২ হাজার ৪৯১ টাকার জ্ঞাতআয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments