রুহুল আমিন সৌরভ , কালীগঞ্জ(ঝিনাইদহ):
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের মাঠে এবার দেখা গেছে ব্যতিক্রমী সাফল্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষ। তাতে আশাতীত ফলন পেয়ে উচ্ছ¡সিত স্থানীয় কৃষকরা। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী গ্রীষ্মকালীন মৌসুমে পেঁয়াজ চাষ ঝুঁকিপূর্ণ ও শ্রমসাধ্য হলেও আধুনিক প্রযুক্তি, সঠিক ব্যবস্থাপনা পাল্টে দিয়েছে সেই ধারণা।
কৃষি বিভাগের কারিগরি সহায়তায় কৃষকেরা এবার অর্জন করেছেন দৃষ্টান্তমূলক ফলন। সোমবার গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের প্রদর্শনী মাঠ পরিদর্শনে আসেন ঝিনাইদহের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কামরুজ্জামান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুব আলম রনি। তারা মাঠ পরিদর্শন শেষে কৃষকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং প্রযুক্তিনির্ভর চাষাবাদ আরও সম্প্রসারণে প্রয়োজনীয় সহায়তার আশ্বাস দেন।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে কৃষকেরা এবার যে সাফল্য দেখিয়েছেন, তা ভবিষ্যতে পেঁয়াজ উৎপাদনের নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে বলে কৃষিকর্মকর্তাদের ধারণা । নিয়মিত সেচ, রোগবালাই দমন ও উচ্চমানের বীজ ব্যবহারের কারণেই এ ফলন সম্ভব হয়েছে।
কৃষকদের মতে, গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজ চাষে লাভ বেশি এবং শ্রম মূল্য তুলনামূলক কম। পাশাপাশি বাজারে চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়ায় তাদের আগ্রহও বাড়ছে। ত্রিলোচনপুর ইউনিয়নের কৃষকদের এই সফলতা পুরো উপজেলার কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলবে।
স্থানীয় কৃষক টিপু সুলতান বলেন, আগে ভাবতাম গরমে পেঁয়াজ হবে না। কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শ অনুযায়ী চাষ করলাম। এবার ফলন দেখে অত্যন্ত খুশি।


