আর মাত্র দেড় সপ্তাহ বাকি আছে ইলিশ ধরার সময়সীমার। সে সঙ্গে শেষও হচ্ছে ইলিশের ভরা মওসুম। ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। কিন্তু চাঁদপুর নৌ-সীমানার পদ্মা-মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে মিলছে না কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ ইলিশ।
ফলে অভ্যন্তরীণ মৎস্য আড়তে সরবরাহ কমেছে ইলিশের। নদী-সাগর থেকে আহরিত কিছু ইলিশ আসলেও দাম অনেক বেশি। ভরা মৌসুমে ইলিশ সঙ্কট ও চড়া দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতা-বিক্রেতা। তার সঙ্গে মাছের সরবরাহ কম থাকায় আয়-রোজগার নিয়ে চিন্তিত চাঁদপুর ইলিশ অবতরণ কেন্দ্র বড়স্টেশন মাছঘাটের আড়তদার ও মৎস্য শ্রমিকরা।
সরবরাহ কমায় ইলিশের ব্র্যান্ডি জেলা চাঁদপুরে ইলিশ মাছের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। এখানকার পাইকারি আড়তে এক কেজি ওজনের একটি ইলিশ ১ হাজার ৮শ টাকা থেকে দুই হাজার ৩শ টাকায় বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশের কেজি আড়াই থেকে তিন হাজার টাকা। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ। গত বছর এই সময়ে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হয়েছিলো এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়। ছোট ইলিশের কেজি হাজার টাকা।
চাঁদপুর মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক খালেক বেপারী জানান, এমনিতেই ইলিশ ধরা পড়ছে খুবই কম। তার মধ্যে ভারতে ইলিশ রপ্তানি হওয়ায় দাম আরও বেড়ে গেছে।
চাঁদপুর মাছঘাটের ছোট সিরাজ চোকদার নামের আড়তদার জানান, এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। এই মুহূর্তে প্রতিদিন অন্তত হাজার মণ ইলিশ আসার কথা চাঁদপুর মোকামে। স্থানীয় নদ-নদীর কিছু ইলিশ মোকামে আসলেও চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম হওয়ায় দাম চড়া।
শরিয়তপুর জেলার ভেদরগঞ্জ গৌরাঙ্গ বাজার এলাকার জেলে রতন সরকার (৬০) জানান, তার গুল্টিজালের নৌকা সুরেশ্বরে পদ্মা-মেঘনা নদীতে ইলিশ শিকার করে। মঙ্গলবার সারাদিনে দুই খেও দিয়ে (দুবার জাল ফেলে) মাছ পেয়েছে প্রায় তিন কেজি।
তিনি বলেন, নদীতে মাছ নেই।
চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা গোলাম মেহেদী হাসান জানান, মাছের রাজা ইলিশ, রাজার মতোই তার দাম। এই মাছটা সুস্বাদু এবং সবাই পছন্দ করে। চাহিদা বেশি থাকায় দামটা একটু বেশি।
তিনি বলেন, সামনে অমাবস্যা জো, এই সময় ইলিশ ধরা বাড়বে।