ক্রিকেট মাঠে নামলেই অন্যরকম চরিত্র ধারণ করেন বিরাট কোহলি। তার শরীরি মেজাজ থাকে ‘আগ্রাসন’ আর মানসিকতায় এক বিন্দুও ছাড় না দেওয়ার মনোভাব। ভারতের এই তারকা ক্রিকেটারকে ২২ গজের মঞ্চে সবসময় স্লেজিং ও প্রতিপক্ষ মানসিকভাবে দুর্বল করার চেষ্টায় মগ্ন থাকতে দেখা যায়। তবে সেই কোহলির নাকি আর দেখা মিলবে না! এ কথা তিনি নিজেই জানিয়েছেন, বদলে যাওয়ার কথা বলেছেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক।
ম্যাচের প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের সঙ্গে মারমুখী অবস্থানে কোহলিকে দেখতেই অভ্যস্ত দর্শকরা। তাই শান্ত মেজাজের কোহলিকে কল্পনা করা তাদের জন্য কিছুটা কষ্টসাধ্য-ই বটে। তার এমন ভাব-ভঙ্গি নিয়ে যেমন সমালোচনা রয়েছে, তেমনি ম্যাচের উত্তেজনা ও রোমাঞ্চ বাড়িয়ে দেওয়ার স্বীকৃতিও রয়েছে তার।
ঘরের মাঠে এবার বিশ্বকাপ খেলতে নামছেন কোহলি-রোহিতরা। দীর্ঘদিন শিরোপাখরায় ভোগা দলটির এবারের লক্ষ্য বেশ বড়। ফেভারিট হিসেবেই তারা ত্রয়োদশ আসরের চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মাঠে নামবে। ব্যক্তিগত কিছু ইতিহাস গড়ারও হাতছানি দিচ্ছে কোহলির সামনে। তার আগে বিশ্বক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের মনোভাব তুলে ধরেছেন তিনি। যেখানে তিনি বলেন, ‘আগে অনেকবার রেগে গিয়ে উচ্ছ্বাস করেছি। কিন্তু এখন এগুলো সবই অতীত।’
অতীত ক্যারিয়ার থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা-ই সেখানে বলেছেন কোহলি, ‘অতীত আর ফিরে আসবে না। সেই সময়ে অনেকের কাছ থেকে অনেক উপদেশ পেয়েছি। অনেকেই বিভিন্ন কথা বলেছেন। কোথায় ভুল হচ্ছে সেটা ধরিয়ে দিয়েছেন। সব কিছু থেকেই শিক্ষা নিয়েছি।’
২০১৯ সালের পর থেকে দীর্ঘদিন তিনি সেঞ্চুরির দেখা পাননি। বড় রানও আসছিল না ব্যাটে। ফলে কোহলির সময় শেষ কিনা, এই প্রশ্নও উঠেছিল। কিন্তু ২০২১-এর এশিয়া কাপে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শতরান করার পর থেকে কোহলি আর থামেননি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সব ফরম্যাট মিলিয়ে তার সেঞ্চুরি পৌঁছে গিয়েছে ৭৭-এ। আর তিনটি সেঞ্চুরি করলেই ওয়ানডেতে কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের (৪৯) রেকর্ড ভেঙে ফেলবেন কোহলি।
নিজের বদলে যাওয়ার পেছনের প্রেক্ষাপট নিয়েও কথা বলেছেন কোহল, ‘যখন দারুণ ফর্মে ছিলাম, সেই সময়ের ভিডিওগুলো খুঁজে বের করি। দেখছিলাম সেই একই নড়াচড়া, বলের প্রতি সেই একই দৃষ্টিভঙ্গিসহ সব ঠিকঠাকই আছে। পরে বুঝলাম আসল সমস্যাটা হচ্ছিল আমার মাথার মধ্যে (মানসিক)। যেটা কাউকে বলে বোঝানো যাবে না। কিন্তু এটা ঠিক হয়ে যেতেই আবার ব্যাটে রান আসতে শুরু করে।