পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খান আনুষ্ঠানিকভাবে খাইবার-পাখতুনখোয়া (কেপি) প্রদেশের পিটিআই সভাপতি আলী আমিন গান্ডাপুরের পদত্যাগ গ্রহণ করেছেন। পিটিআই প্রতিষ্ঠাতার নির্দেশনায় গান্ডাপুরের পদত্যাগ জমা দেওয়া হয়েছিল, যা ইমরান খান অনুমোদন করেছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন। এই সিদ্ধান্ত এমন সময়ে এলো যখন গান্ডাপুরকে সরিয়ে জুনাইদ আকবরকে নতুন সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
শনিবার পিটিআই প্রধান ইমরান খান তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও খাইবার-পাখতুনখোয়া মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ডাপুরকে দলীয় সভাপতির দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন এবং তার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে জুনাইদ আকবর খানকে নিয়োগ দেন।
পিটিআই সেক্রেটারি জেনারেল ব্যারিস্টার সালমান আকরাম রাজা এই পরিবর্তনের ঘোষণা দেন, যা শাসক দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) নেতৃত্বাধীন জোটের সঙ্গে চলমান আলোচনার অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কিছুদিন আগে জুনাইদ আকবরকে খাইবার-পাখতুনখোয়ার পিটিআই সভাপতি করা হয়। তিনি জাতীয় পরিষদের পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির (পিএসি) চেয়ারম্যান হিসেবে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত প্রতিনিধি।
এদিকে, গান্ডাপুরকে খাইবার-পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকেও সরানো হতে পারে বলে গুঞ্জন উঠলেও, ইমরান খানের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক সাক্ষাত এই বিষয়টি আলোচনায় আসেনি বলে সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার আদিয়ালা জেলে ইমরান খানের সঙ্গে গান্ডাপুরের বৈঠক হয়, যা পাকিস্তান র রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে।
সূত্র জানিয়েছে, বৈঠকে দুই নেতা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন, যার মধ্যে ছিল চলমান উন্নয়ন প্রকল্প এবং খাইবার-পাখতুনখোয়ার নিরাপত্তা পরিস্থিতি।
প্রায় এক ঘণ্টার বৈঠকের পর গান্ডাপুর কোনো মন্তব্য না করেই ইসলামাবাদে ফিরে যান।
এই পরিবর্তন পিটিআইয়ের রাজনৈতিক কৌশলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে এবং খাইবার-পাখতুনখোয়ার পাশাপাশি জাতীয় রাজনীতিতেও প্রভাব ফেলতে পারে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।